Wednesday 24 September 2014

প্রথম বারেই লক্ষ্যভেদ, মঙ্গল-কক্ষে মঙ্গলযান

প্রথম বারেই লক্ষ্যভেদ, মঙ্গল-কক্ষে মঙ্গলযান
‘মম-এর আজ মঙ্গলের সঙ্গে মিলন হল এবং মঙ্গল পেয়ে গেল মম-কে।’ মঙ্গলের কক্ষপথে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) মঙ্গলযান ‘মম’ (মার্স অরবিটার মিশন) পৌঁছনোর পর এ কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার সকালেই এসেছিল সুসংবাদ। সৌজন্যে ইসরো। ইতিহাস তৈরি করে লাল গ্রহের কক্ষে পৌঁছয় ইসরোর মঙ্গলযান। প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্য পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এ দিন সকালে অভূতপূর্ব এই সাফল্যের সাক্ষী রইলেন প্রধানমন্ত্রী। ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছে নাসাও। কয়েক দিন আগেই তাদের যান ‘মাভেন’ও পৌঁছেছে মঙ্গল-কক্ষে। তবে সেই যানের থেকে অনেক কম খরচে ভারতীয় মঙ্গলযানের এই সাফল্য বিস্মিত করেছে গোটা বিশ্বকে। ৪৫০ কোটির এই মঙ্গলাভিযান আগের বছরের অস্কার প্রাপ্ত ছবি ‘গ্রাভিটি’র থেকেও সস্তায় সারা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়ে এ দিন বলেন, ‘‘আজকের সাফল্য আশা করি আমাদের আরও উজ্জিবীত করবে। আমরা আরও বড় লক্ষ্য ঠিক করব।’’ তিনি জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী চাঁদে অভিযানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তা সফল হয়েছে। সেই সাফল্যই আজকের পথ খুলে দিয়েছিল। এ দিনের পর অন্য কোনও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
প্রথমে চন্দ্রযান। তার পরে মঙ্গলযান। পর পর সাফল্যে ঝুলি ভরে উঠেছে ইসরো-র। এ বার চিনকেও পিছনে ফেলে দিল ভারত। প্রায় দশ মাস যাত্রার পর এ দিন ছিল মঙ্গলযানের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ২৪ মিনিট! এত দিন নির্দিষ্ট পথে চলার পরে এইটুকু সময়ের উপরেই দাঁড়িয়ে ছিল সাফল্য-ব্যর্থতার মানদণ্ড। মহাশূন্যে ছুটে চলা ভারতের মঙ্গলযানকে লাল গ্রহের কক্ষপথে বসাতে প্রয়োজন ছিল ওইটুকু সময়। এবং এই সময়টুকু কাটল একেবারে পরিকল্পনামাফিক। প্রথম অভিযানেই সাফল্যের বিরল কৃতিত্ব পেল ইসরো। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া বা ইওরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছতে পারেনি। প্রতিশ্রুতি মতোই প্রধানমন্ত্রী এই অভিযানের চূড়ান্ত মুহূর্তে ইসরো-র পাশে ছিলেন।

No comments:

Post a Comment